Header Ads

Header ADS

চাকরি কাকে বলে?

চাকরি কি?



চাকরি বা কাজ হল নিজের ইচ্ছায় করা কিছু কাজ, যা লোকেরা নিজের, আরেকজনের, অথবা একটি বৃহত্তম গোত্রের চাহিদা এবং চাওয়াকে সমর্থন করার জন্য করা হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো চাকরি। চাকরির করার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে ব্যক্তিগত আয়। এবং এই ব্যক্তিগত আয়ের মাধ্যমেই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়। বাংলাদেশে চাকরির বিভিন্ন খাত রয়েছে। যথেষ্ঠ যোগ্যতা অর্জন ছাড়া সেগুলো পাওয়া সম্ভব নয়। চাকরির অনেকগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তিনটি ক্যাটাগরি। সেগুলো যথাক্রমেঃ 

১। সরকারী চাকরি
২। অর্ধ-সরকারী চাকরি
৩। বে-সরকারী চাকরি

এখন আমরা একে একে চাকরির সকল ধরনের (ক্যাটাগরির) বর্ণনা করবো। 

স্বাভাবিক চোখে দেখা যায় চাকরি ক্ষেত্রে মানুষের আকাঙ্ক্ষা সর্বদা সরকারী চাকরির দিকেই দিক নির্দেশ করে। কেননা মর্যাদার কথা চিন্তা করেও অনেকেই সরকারী চাকুরী খোঁজে। এমন একজন মানুষকেও খুজে পাওয়া যাবে না যার সরকারী চাকরির প্রতি চাহিদা নাই। তারপর আসি বিভিন্ন অর্ধ-সরকারী চাকুরি ক্ষেত্রে এবং সরকারী চাকরীর পরেই এই ক্যাটাগরির প্রতি মানুষের চাহিদা বেশি। কেননা এই পেশা গুলো যেকোনো সময় জাতীয় করণ হয়ে যেতে পারে! সরকারের বিশেষ দৃষ্টি এই প্রতিষ্ঠান গুলোর উপর থাকে। আর সব শেষে মানুষের নিম্ন চাহিদার পাত্র হলো বেসরকারী চাকরি। তবে দুঃখ জনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশে বে-সরকারী খাতের চাকরিজীবি অনেক বেশি। বিভিন্ন এনজিও সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বেসরকারি রয়েছে। এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানেও চাকরিগুলোকে বেসরকারী চাকরি বলা হয়। 

  • সরকারী চাকরিঃ সরাসরি সরকারী তহবিল থেকে পরিচালিত চাকরি গুলোই হলো সরকারী চাকুরি। এই চাকরিগুলো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমস্তকিছু সরকারী ভাবে পরিচালনার জন্য সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের নোটিশ দেয়া হয়। সব থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা এই সরকারি চাকরিতেই দেয়া হয়। সরাসরি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পরিচালিত হয় ১-৯ গ্রেডের চাকরি গুলো। 

  • অর্ধ-সরকারী চাকরিঃ যেই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সাথে ৫০% শেয়ারে পরিচালিত হয় সেগুলোই সাধারণত আধা-সরকারি বা অর্ধ-সরকারি চাকরি বলে। এগুলো কিছুটা সরকারের নিয়ম মেনে চলে তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই চাকরিগুলোতে নিজস্ব কাঠামো অনুযায়ী স্বতন্ত্র ভাবেই বেতন পরিচালিত হয়।

  • বে-সরকারী চাকরিঃ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রতিষ্ঠানের মালিকের নিয়মানুযায়ী সমস্ত কিছু পরিচালিত হয়। যেমন এনজিও। (NGO: Non-Government Organizations) এনজিও পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠান বেসরকারি। এবং সকল ব্যক্তিগন প্রতিষ্ঠান তথা ব্যক্তিগত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো বেসরকারি চাকরির প্রতিষ্ঠান।
একনজরে আমাদের তথ্যকোষ দেখে আসুন।

No comments

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.