”চব্বিশের গণবিস্ফোরণ” সম্পর্কে কিছু কথা!
“চব্বিশের গণবিস্ফোরণ”
যৌথ কাব্যগ্রন্থ
#কাব্যগ্রন্থটি সম্পর্কে যা যা জানা জরুরী!
১। কাব্যগ্রন্থ পাঠের সুবিধা।
২। কাব্যগ্রন্থটি কেন অন্য কাব্যগ্রন্থের থেকে আলাদা?
৩। কাব্যগ্রন্থে কি ধরনের কবিতা থাকছে?
৪। কাব্যগ্রন্থে কতজন কবি অংশ গ্রহণ করেছে?
৫। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত!
৬। কাব্যগ্রন্থের প্রেক্ষাপট ও বিষয়বস্তু।
৭। পাঠকদের করনীয়।
👉... কাব্যগ্রন্থটি পাঠ করার সুবিধাগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ও উল্লেখ্য সুবিধাটি হলো নিজের মধ্যে সৃজনশীল মনোভাব সৃষ্টি এবং সমসাময়িক লেখকদের নতুন এবং পুরাতনের সমন্বয় টুকু অনুধাবন করা। বর্তমান প্রজন্ম এই কাব্যগ্রন্থটির মাঝে ১৯৭১ এর অনেক মিল খুজে পাবে। ছাত্র-জনতাকে আল্লাহ কিভাবে সাহায্য করেন তার অনন্য নিদর্শন আমাদের “চব্বিশের গণবিস্ফোরণ” কাব্যগ্রন্থটি। নিজেদের ইচ্ছাশক্তির উন্নতি সাধনে এই বইটিই হতে পারে আপনার একমাত্র হাতিয়ার ইন-শা-আল্লাহ।
👉... কাব্যগ্রন্থটি হলো যৌথ কাব্যগ্রন্থ। এটি অনেকটা ব্যতিক্রমী, কেননা এটিতে রয়েছে অনেক প্রবীণ এবং উদীয়মান কবির কবিতা। অনেক বিজ্ঞ লেখক এখানে নিজের কবিতা জমা দিয়ে স্মৃতি হিসেবে রেখেছে। আবার অন্য কাব্যগ্রন্থের তুলনায় এই কাব্যগ্রন্থটি অধিক সময় উপযোগী। যুগ-উপযোগী লেখার জন্য “চব্বিশের গণবিস্ফোরণ” কাব্যগ্রন্থটি অতুলনীয়।
👉... কাব্যগ্রন্থটিতে থাকছে বিদ্রোহী কবিদের লেখা অনন্য বিদ্রোহী কবিতার সমাহার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কোটা আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে কথা বলা এবং ততকালীন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে পাঠানো ক্ষুদে লেখকদের ক্ষুদেবার্তা। তার অন্যায় মূলক কর্মকান্ডকে নির্দেশ করা হয়েছে এই কাব্যগ্রন্থে। যার মধ্যে কয়েকটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য কবিতা হলোঃ কু-শাসক, লাল কার্ড, চব্বিশের গন বিস্ফোরণ, আগুন জ্বালাও, দুর্নীতি, চব্বিশের কোটা, অধিকার ইত্যাদি।
👉... যৌথ কাব্যগ্রন্থ হবার কারণে কাব্যগ্রন্থটিতে অংশগ্রহণ করেছে ১০৮জন কবি ২৪৮টি কবিতা নিয়ে। প্রতিটি কবিতায় রয়েছে দেশপ্রেম, এবং স্বৈরাচারে বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। বাংলাদেশ সহ ভারতেরও দু-একজন লেখক আমাদের এই কাব্যগ্রন্থে অংশ নিয়েছেন। সব থেকে বিশেষ কথা আমাদের সম্পাদক মোঃ নাছিম প্রাং নিজেও এই কাব্যগ্রন্থের একজন কবি। এছাড়াও রয়েছেন বিশেষ বিশেষ কবিগন। যারা ইতিমধ্যেই সাহিত্য জগতে অধিক সারা জাগিয়েছেন।
👉... এই কবিতাটি প্রকাশের সিদ্ধান্তটি অফিসিয়ালি হয় নি, সিদ্ধান্তটি হয়েছে হঠাৎ করে। সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নাছিম প্রাং এর একক সিদ্ধান্তেই বইটির প্রচ্ছদ ডিজাইন হয়। তারপর গ্রুপে আলোচনা হলে আমাদের সবারই বিষয়টি অত্যান্ত সুন্দর মনে হয়। এজন্য আমরা সকলেই সমর্থন প্রকাশ করি। এবং আলোচনা সাপেক্ষে বইটির কর্মকান্ড চলতে থাকে। বইটি প্রকাশ হচ্ছে আমাদের নিজস্ব প্রকাশনী “ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী” থেকে। এছাড়াও বইটির জন্য উপহার হিসেবে কবিগনকে দেয়া হবে একটি করে বই, কলম, বক্স ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং একটি করে গেঞ্জি (গেঞ্জির আলাদা টাকা)।
👉... ততকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র এবং ছাত্রের মাঝে মুক্তিযোদ্ধাদের কেন্দ্র করে এক বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি করে যার নাম কোটা। তারই প্রতিবাদে ছাত্র জনতা স্বেচ্ছার হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরোক্ষভাবে ঘোসনা দেন যে, মুক্তিযোদ্ধা ব্যতিত সকল বাঙ্গালীই হলো রাজাকার। এবং এই কথাকে কেন্দ্র করে করে শুরু হয় “কোটা সংস্কার আন্দোলন”। এই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রংপুরে ১৬ই জুলাই ২০২৪ ইং তারিখে আবু সাঈদ নামক একটি নিরস্ত্র ছাত্রকে ততকালিন প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্ত বাংলাদেশ পুলিশের এক সাব-ইনেসপেক্টর নির্মমভাবে গুলি করে হ*ত্যা করে সেই সাথে সারা বাংলাদেশে শুরু হয় গন অভ্যুত্থান। এবং তখন থেকেই শুরু হয় গনজোয়ার এবং তারপর একের পর এক ঘটে নির্ম*মতা এবং অত্যাচার। বেরিয়ে আসে হাজারও দুর্নীতির হিসাব। ধীরে ধীরে এই গনজোয়ার এক পর্যায়ে ৯ দফায় পরিবর্তীত হয়। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও কঠোর ভাবে অত্যাচার করে। এবং হ*ত্যা*কান্ড বাড়াতে থাকে। ছা*ত্র লীগ, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী সহ বাংলাদেশ এর সকল প্রসাশনকে সে লেলিয়ে দেয় এবং চলতে থাকে হ*ত্যা কান্ড । এবং সময়ের পরিবর্তনের কারণে ক্রমে ক্রমে এই ৯ দফা ১ দফায় পরিনত হয়। এরই মাঝে সব কিছুকে পরবর্তী প্রজন্মের নিকট স্বরনীয় করে রাখতেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
👉... সকল পাঠক এই দিনগুলোকে স্বরণে রাখতে বইটিকে সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। আপনার সংগ্রহ করা বইটি শেয়ার করার মাধ্যমে সারাদেশের পরবর্তী প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে সাহায্য করা। আর সমসাময়িক সাহিত্য বিষয়ক সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ব্লগ টিতে।
মোঃ আব্দুর রউফ (Md. Abdur Rauf)
এ্যাডমিন ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার
আমাদের সাথে যুক্ত হোন
No comments