Header Ads

Header ADS

হা-ডু-ডু সম্পর্কে কিছু কথা?



চিত্র: ইডিট করে সাজানো হয়েছে।
 
হাডুডু অতি পরিচিত একটি গ্রাম্য খেলা। আমাদের গ্রামগঞ্জে এখনও এই খেলাটি বেশ চলে। আমাদের এখানে গ্রাম ভিত্তিক হাডুডু খেলার প্রতিযোগিতা হয়। কিন্তু অতি গরমে এই খেলাটি সাধারণত খেলা হয় না। নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশ এই খেলার অন্যতম প্রধান সময়। ক্রিকেট, ফুটবলের মতো জনপ্রিয় না হলেও হাডুডুর জনপ্রিয়তা কম নয়। এর জনপ্রিয়তা অন্য সব খেলার মতোই। এই খেলা সম্পর্কে একটু জেনে নেই। আসুন চোখ বুলিয়ে নেই নিচের পোস্টটিতে।

এই খেলায় নিয়ম প্রতিপক্ষ খেলোয়াদের থেকে পয়েন্ট নিয়ে নিজের লক্ষে পৌঁছনো। কিন্তু প্রতিপক্ষ সবাই মিলে একজনকে টেনে ধরে লক্ষে যেতে না দেয়ার জন্য। বাংলাদেশের মানুষের স্বভাব এর দিকে বিবেচনা করেই হাডুডু বা কাবাডি কে জাতীয় খেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই সাথে শিক্ষা হিসেবে আমরা গ্রহণ করতে পারি যে পথ যত কঠিনই হোক, যতই পেছন থেকে বাধা দেয়া হোক না কেনো আমাদের লক্ষে পৌছাতেই হবে।

সাধারণত হা-ডু-ডু খেলার মাঠে একটি সুনির্দিষ্ট মাপ থাকে। খেলায় অংশগ্রহণকারীরা যে জায়গায় খেলা হবে তার আকার বিবেচনায় নিয়ে নিজেরা আলোচনা করে চারদিকে দাগ দিয়ে খেলার মাঠের সীমানা ঠিক করে নেয়। তবে মাঠের আকার যত বড় কিংবা ছোট হোক না কেন, এর আকৃতি হয় আয়তাকার। মাঝখানে দাগ দিয়ে মাঠকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিভাগে একেকটি দল অবস্থান নেয়। অন্যদিকে কাবাডি মাঠের আকার হয় দৈর্ঘ্যে ১২.৫০ মিটার, প্রস্থে ১০ মিটার। নিয়ম অনুসারে, এক পক্ষের একজন খেলোয়াড় অপর পক্ষের কোর্টে হানা দেয়। এ সময় সে শ্রুতিগোচরভাবে হা-ডু-ডু, হা-ডু-ডু বা কাবাডি কাবাডি কাবাডি শব্দ করতে করতে অন্য ওই পক্ষের যে কোনো একজন খেলোয়ারকে ছুঁয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করে। ওই পক্ষের চেষ্টা থাকে সবাই মিলে তাকে জাপটে ধরে আটকে রাখা। যদি ওই খেলোয়াড় দম ধরে রেখে নিজ কোর্টে ফিরে আসতে পারে, তাহলে তার দল পয়েন্ট পায়। আর যদি আটকে থাকা সময়ের মধ্যে খেলোয়াড়টির দম ফুরিয়ে যায়, তাহলে বিপক্ষ দল পয়েন্ট পায়।

হাডুডু বা কাবাডি শুধু বাংলাদেশেরই জাতীয় খেলা নয়, প্রতিবেশী ভারতের ছয়টি রাজ্যের জাতীয় খেলা এটি। রাজ্যগুলো হলো: তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার ও পাঞ্জাব। অবশ্য বিভিন্ন প্রদেশে খেলাটি ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত।

ব্যক্তি ও দলগতভাবে শত্রুপক্ষের আক্রমণ ঠেকিয়ে দেওয়া এবং সাথে সাথেই পাল্টা আক্রমণের কৌশল চর্চা করতে গিয়েই সম্ভবত এ খেলার উদ্ভব। এ খেলায় সফলতার শর্ত হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক ক্ষিপ্রতা, পেশীর ক্ষিপ্রতা, ফুসফুসের শক্তি ও সহনশীলতা, দ্রুত চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও তা প্রয়োগের সামর্থ। সেইসঙ্গে প্রতিপক্ষের কৌশল ও মনোভাব অনুধাবনের যোগ্যতাও গুরুত্বপূর্ণ।

পাশাপাশি একটি বিষয় না বললেই নয়, কাবাডি খাতা কলমে আজও বাংলাদেশের জাতীয় খেলায় রুপ নিতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবে একসময়ের অতি জনপ্রিয় খেলা হবার কারণেই এখন জাতীয় খেলা বলেই পরিচিতি পেয়েছে। 

No comments

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.