কি, কেন, কিভাবে?
আমাদের কিছু কথা:
আমাদের মধ্যে কিছু কনফিউশান থাকে যেগুলো এমনি এমনি সমাধান হয় না। আসুন জেনে নেই আজকের কনফিউশানের সহজ সমাধান। যে যে প্রশ্নগুলো আমাদের মাথায় ঘোরাফেরা করে প্রথমে সেই বিষয়গুলোকে খুজে বের করতে হবে। তারপর সেগুলোর সমাধান খুজে বের করতে হবে। তবে আসুন জেনে নেই কি কি প্রশ্ন আসতে পারে। 👇
আমাদের প্রশ্ন:
১। কী?
২। কেন?
৩। কিভাবে?
প্রথম কথা আমাদের এই তিনটি প্রশ্ন সম্পর্কে জানতে হবে। এই তিনটি প্রশ্নের সমাধান যদি আপনি খুজে বের করতে পারেন তবে আলহামদুলিল্লাহ আপনাকে আর কোথাও কারো কাছে সমাধানের জন্য যাইতে হবে না। আপনি নিজে থেকে আপনার কনফিউশানের সমাধান করতে পারবেন ইন-শা-আল্লাহ।
কোনো একটা বিষয় যদি আপনি আগে থেকে জানেন আসলে বিষয়টা কি? বিষয়টি কেন করতে হবে? বিষয়টি আমরা কিভাবে করবো? এই তিনটা প্রশ্নের সমাধান যদি বের করা যায় তবে আর নতুন করে কোনো প্রশ্নের সমাধান খুজতে হবে না। কারণ হলো পরোক্ষভাবে সব প্রশ্নের উত্তর এই তিনটি প্রশ্নের মধ্যেই আছে।
তবে চলুন আমরা জেনে নেই তিনটি প্রশ্নের উত্তর!
১। পড়াশোনা কি?
২। পড়াশোনো কেনো করবো?
৩। পড়াশোনা কিভাবে করবো?
চলে আসি আমাদের উত্তরে।
১। পড়াশোনা হলো পাঠ করা, আয়ত্ব করা, অনুধাবন করা, নতুন কিছু শেখা এবং সেই বিষয়গুলো পরবর্তী সময়ে কাজে লাগানোর ক্ষমতা রাখা।
পড়াশোনা এমন একটি বিষয় যা স্বাভাবিক ভাবে একটি মানুষকে সাবলম্বী করতে সাহায্য করে। মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআন শিক্ষা করতে বলেছেন। সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে গেলে অবশ্যই কুরআনের জ্ঞান মাথায় রাখতে হবে। বর্তমানে আমরা জেনারেল জ্ঞান আহোরণের পাশাপাশি ইসলামিক জ্ঞান আহোরণ করে থাকি যার জন্য অনেক ছাত্র হয়ে ওঠে মুশরিক এবং নাস্তিক। জেনারেলের পাশাপাশি ইসলাম নয় বরং ইসলামের পাশাপাশি জেনারেল জ্ঞান থাকাটা উচিত। ইসলাম হতে হবে মুল বিষয় বাকি সব কিছু হলো চতুর্থ বিষয়। আর এটাই হলো পড়াশোনার একমাত্র পদ্ধতি হওয়া উচিত। বর্তমান যুগের ৬০% এর বেশি মুসলিম ছাত্র আল-কুরআন তিলাওয়াত করতে পারে না। অথচ তারা ইংরেজী সুন্দর ভাবে বলতে পারে। সঠিক শিক্ষায় শিক্ষা অর্জন করলে সে অবশ্যই কুরআন তিলাওয়াত জানতো। ইসলামিক পড়াশোনা এবং কুরআন পাঠ মানুষের ইহকাল ও পরকাল উভয় কালের জন্য অত্যান্ত জরুরী। আর পড়াশোনার সংজ্ঞাতে রয়েছে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য পাঠ করাই হলো পড়াশোনা। আর সু-শিক্ষা গ্রহণের একটাই পদ্ধতি সেটি হলো ইসলামিক শিক্ষা অর্জন। তাই বাচ্চাদের এবং নিজেদের সঠিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে ইসলামিক শিক্ষার সু-ব্যবস্থা করুন ইন-শা-আল্লাহ।
২। পড়াশোনা করার বহু কারণ আছে। তার মধ্যে সাধারণ ও উল্লেখ যোগ্য কারণগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
পড়াশোনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা বিভিন্ন কর্ম সঠিক ভাবে করার পূর্বশর্ত। চাকরি ব্যবসা সহ সব ধরনের কাজে শিক্ষার প্রয়োজন অপরিসীম। একজন শিক্ষিত মানুষ সমাজে উন্নতির আলো ছড়াতে ভুমিকা পালন করে। সেই সাথে ধর্মীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা ব্যক্তিকে সমাজে ধর্ম বিষয়ক পন্ডিতও বলা হয়। যে ব্যক্তি ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করে সেই পড়াশোনা অন্য মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিবে সেই হবে ওই সমাজের সেরা ব্যক্তি। তার ফলস্বরূপ তাকে জান্নাত দান করা হবে। জান্নাত পৃথিবীর সকল ব্যক্তির চাওয়া। ইসলামিক জ্ঞান যদি না থাকে তবে সেই লোকটি আল্লাহর দাসত্ব হতে অনেক দূরে থাকবে সেই ব্যক্তি হবে ধীরে ধীরে নাস্তিকের অন্তর্গত। এজন্য ধর্মীয় পড়াশোনা একটা মানুষের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের চরিত্র আখলাক তখনই নষ্ট হয় যখন সে ইসলাম সম্পর্কে কিছু জানে না। ইসলাম সম্পর্কে যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ জানে সেই ব্যক্তি কখোনো খারাপ চরিত্রের হতেই পারে না। তাই যেদিকেই একজন মানুষ যাক না কেনো তার ইসলামিক জ্ঞান থাকা এবং পড়াশোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩। পড়াশোনা করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে যার মধ্যে অধিকতর গ্রহণযোগ্য হলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষা এবং সর্বশেষ সামাজিক শিক্ষা এই সব গুলো পদ্ধতিতেই সঠিক শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব। নিচে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলোঃ
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হলো দ্বিতীয় ধাপের শিক্ষা তবে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রাতিষ্ঠানিক সঠিক জ্ঞান অন্বেষণ করলে একটি মানুষ ধীরে ধীরে পরিপক্ক জ্ঞানি মানুষ হয়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠানে যদি ইসলামিক জ্ঞান বিতরণ করা হয় তবে ওই স্থানে পড়াশোনা করতে যাওয়া একটি ছাত্র এবং পিতার জন্য ইমানি দায়িত্ব হয়ে যায়। সঠিক জ্ঞান না পেলে ওই সন্তান অমানুষ হিসেবে পরিচিত হয়। পিতামাতাকে সম্মান করে না। সালামও দেয় না। কিন্তু স িঠক শিক্ষা পেলে একটি ছেলে তার বাবা মাকে সালাম দিবে এটাই হলো নিয়ম। বাবা মার কথার অবাধ্য হবে না। এর পাশাপাশি একটি মাধ্যম হলো পারিবারিক শিক্ষা, পরিবারে একটি শিশু যা দেখে স্বাভাবিক ভাবে সেইটাই শিখে থাকে। তাই সন্তান পৃথিবীতে আসার পর এমন কিছু করা যাবে না যে সন্তান সেটা দেখে খারাপ কাজে লিপ্ত হয়। পরিবারে একজন মানুষ নামাজ পড়েনা সেই সন্তানও নামাজ পড়বে না। আবার পরিবারের সবাই নামাজি সেই সন্তানও নামাজি হবে ইন-শা-আল্লাহ। এর পাশাপাশি ধর্মীয় জ্ঞান মাথায় দিতে হবে তাহলে আনুসাঙ্গিক সকল বিষয় গুলো থেকে সন্তান নিজেকে হেফাজত করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবে। সর্বশেষ আছে সামাজিক শিক্ষা , সমাজের খারাপ সঙ্গ হতে আপনার সন্তানকে দুরে রাখতে হবে। একজন খারাপ সঙ্গের কারণে শিশুটিও ধীরে ধীরে খারাপে পরিণত হয়।
তবে মিলে গেলো কি, কেন, কিভাবের উত্তর। এমনভাবে সব বিষয়ে আমরা এই তিনটি প্রশ্নের সমাধান করবো এবং তারপর আর কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনার দরকার হবে না।
মোঃ আব্দুর রউফ
লেখক ও ডিজাইনার
No comments