Header Ads

Header ADS

১৬ই ডিসেম্বরের কিছু কথা: মোঃ আব্দুর রউফ।

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের একটি ঘটনা যা এখোনো অনেকেই জানেন না। আজকে আপনাদের মাঝে এই কথা গুলো উপস্থাপন করতে যাচ্ছি ইন-শা-আল্লাহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মোঃ আব্দুর রউফ


১৬ই ডিসেম্বর একটি মহান দিন বাঙ্গালী জাতির জীবনে। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটে ১৯৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বরের মাধ্যমে। বাঙ্গালি বীরের জাতি বলেই এই দিনে আল্লাহর অশেষ রহমতে স্বাধীনতার মতো একটি মহান একটি পাওয়ার অধিকারী হয়। ১৯৭১ এর আগে দেশ যেভাবে শোষিত হয়েছে তার বেশির ভাগই ছিলো তৃতীয় পক্ষের কারণে। তথাকথিত বন্ধুদেশ ভারতের উসকানিতেই সব রকম অরাজকতা চালু হয় তৎকালীন পাকিস্তানে। ১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট ভারত এবং পাকিস্তান আলাদা হবার পর থেকেই পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী বিভিন্ন ভাবে বাঙ্গালীর প্রতি অমানবিকতার প্রমান দেয়। এবং এক পর্যায়ে নিজেদের শক্তির অপব্যবহার করে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চায় বাঙ্গালির উপর। ১৯৪৮ এর গনপরিষদ অধিবেশনে এই ঘোসনা দেন পাকিস্তানের প্রধান। সেটি মেনে নেয় না বাঙ্গালী জাতি এজন্য হতে থাকে নির্যাতিত ও নিপিরিত। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কালে দফায় দফায় হয়ে থাকে বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রাম। শুরুটি হয় ১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারীতে। উল্লেখযোগ্য আন্দোলন সমূহ।

ভাষা আন্দোলন-১৯৫২
সাধারণ নির্বাচন-১৯৫৪
ছয়দফা আন্দোলন-১৯৬৬
গনঅভ্যত্থান-১৯৬৯
নির্বাচন-১৯৭০
সর্বশেষ মহান মুক্তিযুদ্ধ-১৯৭১

এছাড়াও ছোট ছোট আন্দোলন সংগ্রাম লেগেই থাকতো। মুক্তিযুদ্ধ হবার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে আমি বলবো সেটি ছিলো বৈষম্য। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে অন্যজনকে ব্যবহার করা। আসলে মুক্তিযুদ্ধের নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছিলো না। অনেক রকমের কারণ একত্রিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়। মুক্তি যুদ্ধের সময় নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। এছাড়াও আরও অনেকেই ছিলো যারা ইতিহাসে পরিচিতি পেয়েছে। ১৯৭১ এর ২৬শে মার্চ থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জন হয় আমাদের । এই ১৬ই ডিসেম্বর সোহরওয়্যার্দি উদ্দ্যানে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাঙ্গালির কাছে আত্মসমর্পণ করে। এবং বাংলা পায় স্বাধীন জীবন।
বাঙ্গালী হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। আল্লাহর অশেষ রহমতের কারণে আমরা অন্যায়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। আজও একদল মানুষের কাজ আমাদের স্বাধীনতাকে বিনষ্ট করা। আর মানুষকে ভয় দেখিয়ে অন্যায় কাজ করিয়ে নেয়া। আজকে আমরা ১৬ই ডিসেম্বর উৎযাপন করা হচ্ছে নাচানাচি করে গান বাজনার মাধ্যমে। এখানে আমার প্রশ্ন তোমরা কি আসলেই শহীদদের ভালোবাসো? তোমরা কি আসলেই স্বাধীনতাকে চাও? তোমরা কি আসলেই স্বাধীনতা পাবার যোগ্য? তোমরা কি আসলেই বাঙ্গালী?
উপরোক্ত প্রশ্ন শুনে অনেকেই আমার উপর ক্ষেপে যেতে পারে। তবে সমস্যা নাই আমার প্রশ্ন করার যথেষ্ট কারণ আমি তুলে ধরবো।
১৯৫২ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় এবং ভাষার জন্য রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়। কিন্তু কোন ভাষার জন্য আন্দোলন হয়? কোন ভাষার জন্য জীবন দেন রফিক, শফিক, বরকত, জাব্বার, সালাম সহ আরও অনেকেই? উত্তরে অবশ্যই আসবে বাংলাভাষা। কিন্তু আফসোস বাঙ্গালী জাতি আজ অনুষ্ঠান করে বিনোদনের নামে ১৬ই ডিসেম্বরে উচ্চ শব্দে হিন্দি, ইংলিশ গান বাজিয়ে অশ্লীলতা ছড়ানো হচ্ছে শহীদদের স্মরণে। যেখানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করার জন্য দোয়ার আয়োজন করা উচিত ছিলো সেখানে হারাম কাজ করা হচ্ছে স্টেজে স্টেজে। অথচ তুমি দাবি করো তুমি একজন বাঙ্গালী। হায় আফসোস! যদি স্বাধীনতার স্টেজে একজন উদীয়মান কবি নিজের কবিতা আবৃত্তি করার জন্য উঠে পড়ে তবে যুব সমাজ বার বার একটা কথাই বলে আমরা কবিতা শুনতে চাই না। আমরা নাচ দেখবো একে এখান থেকে নামিয়ে দেন। এখানে আমার প্রশ্ন স্বাধীনতা মানে কি এই? স্বাধীনতার মঞ্চে একজন একটি দেশাত্মবোধক সংগীত খালি গলায় গাইলে আপনাদের ভালো লাগে না। অথচ আপনারাই আবার একই মঞ্চে অশ্লীল নৃত্য শীল্পীদের দেখে হাত তালি দেন। হায় আফসোস! কথাগুলো এমনি এমনি নয়। কথাগুলো আমার দেশপ্রেমের আবেগ থেকে লেখা।
আসুন আমরা আমাদের বিবেককে জাগ্রত করি। বিবেক দিয়ে আমাদের সামনের ভালো মন্দের বিচার করি। শহীদদের অপমান করা হতে বিরত থাকি। অশ্লীলতা ছড়ানো বন্ধ করি। ধন্যবাদ.........................

আরও পড়ুন:.......................... আলু চাষ

No comments

Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.